‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সচিবালয়ের প্রধান ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এমন পরিস্থতিতেও আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালো আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অনেকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
এদিকে এই আন্দোলন ঘিরে সচিবালয়ে আজ দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে গণমাধ্যমকর্মীদেরও সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। তাদের একজন সাংবাদিক মোহসিনুল করিম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘গণতন্ত্রের ঠেলায় গণমাধ্যমকর্মীরাও ঢুকতে পারবেন না সচিবালয়ে।
’
গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল ২৭ মে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে সকাল থেকেই সচিবালয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
গত রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর রবি ও সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।