১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ০৮:৩০:১২ পূর্বাহ্ন
চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে, ৮ জন আহত, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৫
চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে, ৮ জন আহত, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক

আম ওজন দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাললে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চককৃষ্টপুর ও জাহাঙ্গীরাবাদ নামক দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে দুটি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।


জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের জনৈক ছিয়ার উদ্দিন নামের এক বাক্তি চুরি করা আম নিমপাড়া ইউনিয়নের চককৃষ্টপুর মোড়ে জনৈক তমজিদের দোকানে ওজন দেয়। এতে আম কম হয়েছে বলে জানালে ছিয়ারের সঙ্গে তমজিদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি বেধে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে ছিয়ারের ভাতিজা জুয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ১০/১৫ জনের একটি দল জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্র হাতে চককৃষ্টপুরে এসে অতর্কিত ভাবে সাধারন জনগনের উপর হামলা চালায়। শুরু হয় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। এতে দুই গ্রামের ৮জন আহত হয়।


আহতরা হলেন, চককৃষ্টপুর গ্রামের মামুন আলী, রাব্বি, তমজিদ, মুনশাদ আলী এবং জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মহির উদ্দিন, কাউছার আলী,জুয়েল আলী ও শুকুর আলী আহত হয়। আহতদের মধ্যে চককৃষ্টপুর গ্রামের মামুন ও রাব্বি এবং জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মহির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের ৩জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে দুটি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুটি গ্রামের মাধ্যখানে একটি ব্রিজ থাকায় দুটি গ্রামের লোকজন কেউ ব্রিজ পার হতে পারছে না।


শুক্রবার সরজমিনে গেলে দেখা যায়, দুটি গ্রামে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় দুটি গ্রামের লোকজন।


চককৃষ্টপুর গ্রামের স্থানীয় মাসুদ রানা বলেন, তুচ্ছ ঘটনা ঘটলেই জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের লোকজন অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র হাতে দলবল নিয়ে এসে কৃষ্টপুর মোড়ে এসে হামলা করে মারামারির ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। একাধিকবার শালিশ বৈঠক বসলেও তারা কোন কর্নপাত করে না। ফলে আজকের ঘটনায় দুটি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের সাব্বির ও ইমন বলেন, আমাদের গ্রামে হিন্দুদের বসবাস বেশী হবার কারনে চক কৃষ্টপুর গ্রামের লোকজন কিছু কথাকাটাকাটি হলেই মারপিটে জড়িয়ে যায়।


নিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যাতে করে দুটি গ্রামে আর কোন ধরণের অনাকাংখিত ঘটনা না ঘটে। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অনাকাংখিত ঘটনা যাতে আর না ঘটে এ জন্য পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেয়ার করুন