০৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ০৮:৩২:৪২ অপরাহ্ন
রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২৫
রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার

স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউসে অবস্থান করেছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার খবর পেয়ে যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি দলবল নিয়ে সেখানে হানা দেন। পরে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হলে ওসি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ। পাশাপাশি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় যশোর পাউবোর পুরোনো রেস্ট হাউসের ‘কপোতাক্ষ’ কক্ষে এক নারীসহ ওঠেন ওসি সাইফুল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে রেস্ট হাউসে প্রবেশ করেন তিনি। পরে ছাত্রদল নেতা গোলাম হাসান সনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন। কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ওসি বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে আবার ভেতরে নিয়ে যান ছাত্রদল নেতারা। এ সময় রেস্ট হাউসে বাগবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।


ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরপরই ৬ জুলাই রাতে ওসি সাইফুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ।


রেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান বলেন, ওসি সাইফুল নিজেই এসে স্ত্রী পরিচয়ে একজন নারীকে নিয়ে কক্ষ বরাদ্দ নেন। পরে কয়েকজন লোক এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে, এরপর কক্ষের ভেতরে ধস্তাধস্তি হয়।


এ বিষয়ে পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে রেস্ট হাউসে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।


এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, ‘আমি যশোরে ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছিলাম। নারী বন্ধু ছিল সঙ্গে। কোনো অনৈতিক কিছু হয়নি। ছাত্রদলের নেতারা এসে কথাবার্তা বলে চলে যান। অপপ্রচারের মাধ্যমে আমার সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে।’


তবে ছাত্রদল নেতা গোলাম হাসান সনি বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে যাই। তবে কক্ষে কোনো নারীকে দেখিনি।’


এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওসি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।


শেয়ার করুন