ভারত থেকে বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় প্রথম পর্যায়ে শিগগিরই ১৫০০ টন পিঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভারতের সরকারি রপ্তানি সংস্থা ‘জাতীয় রপ্তানি সমবায় কোম্পানি’ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২৯ রুপি দরে পিঁয়াজ কিনছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেহেতু দর আগেই নির্ধারিত হয়েছে তাই এর থেকে বেশি দাম হবে। প্রথমে জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারি সংস্থার মাধ্যমে আমদানি করতে চায়। এতে দাম বেশি হচ্ছিল। এখন প্রথম পর্যায়ে সরকারি সংস্থার মাধ্যমে পেলেও পরে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে রপ্তানি হতে পারে।
ভারতের পিঁয়াজের দাম খোলা বাজারে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ডিসেম্বরে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। রমজান মাসে বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যে পিঁয়াজের চাহিদা বাড়ে। এসব দেশে আগ্রহের কারণে ভারত সরকার ৬৪ হাজার টন রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতের ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ করেছে যে, রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কারণে বেআইনিভাবে পিঁয়াজ চালান হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদনের অর্ধেক এভাবে বেআইনিভাবে যাচ্ছে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন কিন্তু কৃষকরা কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এ জন্য আবার রপ্তানি অনুমোদন করা হয়। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের নাসিক পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম নিম্নগামী। কিছুদিনের মধ্যে রবি ফসল উঠবে, তখন এই দাম আরও কমে যাবে। সেজন্য ব্যবসায়ীরা দ্রুত রপ্তানি শুরু করতে আগ্রহী।