০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ০১:০১:১৫ পূর্বাহ্ন
বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে : মন্ত্রণালয়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৫
বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে : মন্ত্রণালয়

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


শনিবার (২ আগস্ট) মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এ বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।



 

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।


‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ প্রসঙ্গে উত্থাপিত এই বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্যই এই বিবৃতি।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’। 



 

মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপগুলিতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের।


পক্ষান্তরে কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। 

উল্লেখ্য, কিন্ডারগার্টেনসমূহ তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধু কিন্ডারগার্টেনসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।


এ জন্য সেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে।   


বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ নীতি কার্যকর নেই। যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়।


কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।


শেয়ার করুন