১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ০২:৩৫:০২ অপরাহ্ন
বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৮-২০২৫
বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট

বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতের বিশাল বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব দেশের অর্থনীতি খাদের কিনারা বা আইসিইউতে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে আরও একটু দ্রুত এগোতে পারলে ভালো হতো।


বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট রয়েছে। এটা একদিনে কাটানো সম্ভব নয়।’

গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।


অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গত এক বছরে আর্থিক খাতের রিফর্ম, অন্যান্য সংস্কার, ব্যাংক খাতের পুনর্গঠন, এনবিআর ইস্যুসহ অর্থনীতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মতে অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি সন্তোষজনক। আর্থিক খাতের বিশাল বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব ছিল।


এমনিতেই আমাদের আর্থিক সক্ষমতা কম, তার মধ্যে এগুলো। সে জন্য আমি খাদের কিনারাই বলি, আইসিইউতে ছিল বলি- সেখান থেকে আমরা একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছি। পৃথিবীর কোনো দেশে এভাবে ব্যাংক খাতের লুটপাট করা হয়নি। একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আমি জানতে চাইলাম, সে বলছে স্যার ৯৫ শতাংশই খেলাপি। কে নিয়েছে টাকা? চেয়ারম্যান সাহেব, আর তার লোকজন।

চিন্তা করতে পারেন। পৃথিবীর কোনো দেশে ব্যাংকের টাকা এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়নি। সেটা আপনার-আমার টাকা কিন্তু।

অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা একেবারে খারাপ অবস্থায় নেই। মূল্যস্ফীতি কমে ৮ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। খারাপ খারাপ বললে তো খারাপই হয়ে যাব। গ্রোথ হচ্ছে না, কর্মংস্থান হচ্ছে না, কিছুই হচ্ছে না, এভাবে বললে তো হবে না। গ্রোথ (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) তো নেগেটিভ না। আনুমানিক একটা তথ্য গ্রোথ ৩.৯ শতাংশ, আমরা আশা করছি বছর শেষে ৫ থেকে ৫.৭ শতাংশ হবে। তিনি বলেন, হয়তো আপনারা যেভাবে প্রত্যাশা করেন, সেভাবে হয়নি। তবে অনেক কিছুই হয়েছে। আর একটু দ্রুত গতিতে হলে হয়তো ভালো হতো। আমরা আশা করছি সামনে অর্থনীতি আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে।


অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ভয় নয়, সচেতন করতে শূন্য রির্টানে জেলের বিধান চালু করা হয়েছে। রিটার্নে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য না দিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই আমাদের সম্মানিত করদাতাদের ভয় দেখাতে চাই না। আমরা শুধু সচেতন করতে চাই।


শেয়ার করুন