২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৮:৪৫:২২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের দুর্বলতা কোথায়, শ্রীলঙ্কা দুশ্চিন্তায় কেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৫
বাংলাদেশের দুর্বলতা কোথায়, শ্রীলঙ্কা দুশ্চিন্তায় কেন

নিদাহাস ট্রফি থেকে শুরু হয়ে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট লড়াই এখন রীতিমতো ‘নাগিন ডার্বি’ নামেই পরিচিত। গত দুই দিন শ্রীলঙ্কা ছিল বাংলাদেশের অঘোষিত বন্ধু। কারণ, এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার জন্য বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল তাদের জয়ের দিকেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের পর হাসি ফুটেছিল বাংলাদেশের শিবিরে।


কিন্তু ক্রিকেটে সম্পর্ক বদলায় দিনে দিনে। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই বন্ধু হয়েই দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে।


দুই দলের মুখোমুখি লড়াই এখন অনেক নিয়মিত। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলান কান্দাম্বি যেমন বলছিলেন, ‘গত তিন–চার মাসে আমরা পাঁচ–ছয়বার মুখোমুখি হয়েছি। তাদের শক্তি ও দুর্বলতা আমরা জানি। আশা করি, আমাদের ছেলেরা পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবে।’


বাংলাদেশের দুর্বলতার জায়গা হয়ে উঠেছে পঞ্চম বোলার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাইফ হাসান ও শামীম হোসেন মিলে মাত্র ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ম্যাচটাই প্রায় হাতছাড়া করে ফেলেছিলেন। আজ তাই বোলিংয়ে বিকল্প বাড়াতে মেহেদী হাসানের ফেরার সম্ভাবনা আছে। দুবাইয়ের উইকেটে স্পিনাররা কিছুটা সহায়তা পেতে পারেন, সেটিও মাথায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও দলের পেস বোলিং কোচ শন টেইট বলেছেন, চূড়ান্ত একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।


শ্রীলঙ্কার দুশ্চিন্তা আবার স্পিন ঘিরে। অফ ফর্মে থাকা মহীশ তিকশানার পরিবর্তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলানো হয়েছিল দুনিত ভেল্লালাগেকে। বাবার মৃত্যুতে তিনি দেশে গেছেন। ম্যাচের আগে ফেরত এলেও আজ খেলা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।


দুই দলের সাম্প্রতিক ইতিহাসও মিশ্র। শ্রীলঙ্কার মাঠে সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি সিরিজটা জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শূন্য রানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৩৯ রানে থেমে যায় লিটন দাসদের ইনিংস। সেই রান সহজেই তাড়া করে ১৪.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচেই জিতে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোরে এসেছে।


টি–টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২১ বার মুখোমুখি হয়ে মাত্র ৮ বার জিতেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনটি জয় তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। শন টেইটও সেটা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলই একে অপরকে ভালোভাবে জানে। তাই এটা ভালো লড়াই হবে। তবে আমাদের নিজেদের ওপর মনোযোগ দিতে হবে।’


বাংলাদেশের জন্য আরেকটি দুশ্চিন্তার জায়গা হলো শেষ দিকের ব্যাটিং। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভারে ৮৭ রান তুললেও শেষ পর্যন্ত দল থেমেছিল ১৫৪ রানে। ম্যাচটা জিতলেও শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। টেইট অবশ্য আশাবাদী, ‘কাল (আজ) মাঠেই দেখতে পাবেন আমরা সেটা সামলাতে পারব।’


সুপার ফোরে চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে যাবে। তাই শুধু জয় নয়, প্রতিটি ম্যাচেই বাড়তি কিছু নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ থাকছে বাংলাদেশের সামনে। আর সেই পরীক্ষার শুরু হচ্ছে আজ, পুরোনো প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই।


শেয়ার করুন