ছাত্র-জনতার সাহসী আন্দোলনের প্রতীক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর শহিদদের স্মরণে ওসমানী উদ্যানে নির্মাণ হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে এবং পাইলিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
রোববার (১২ অক্টোবর) ওসমানী উদ্যানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শহিদদের স্মরণ ও তাদের আত্মত্যাগের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখা।
এই স্মৃতিস্তম্ভটি একটি বৃত্তাকার বেদির উপর নির্মিত হবে। এর মাঝখানে থাকবে একটি ৯০ ফুট উচ্চতার স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম, যা প্রতীকীভাবে অভ্যুত্থান ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বহন করবে। কলামটির দুই পাশে থাকবে চারটি করে মোট আটটি আয়তাকার পারসিভড (perceived) কলাম।
প্রবেশের জন্য থাকছে দুইটি প্রবেশপথ এবং প্রবেশপথেই বসানো হবে এপিটাফ, যেখানে খোদাই করা থাকবে শহিদদের স্মৃতি ও আন্দোলনের ইতিহাস। পুরো এলাকাজুড়ে কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন বৃহদাকার ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হবে, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও হবে।
অনুষ্ঠানে শহিদদের স্মরণে দোয়া ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া,স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই এর কাজ শেষ হবে।”