১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৩:১৪:১৫ অপরাহ্ন
চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ছাত্রদলের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২৫
চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ছাত্রদলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার বিকেল চারটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে আগে থেকে সারিতে থাকা শিক্ষার্থীদের বিকেল চারটার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনির উদ্দিন জানান, “ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে শেষ হয়েছে। এখন ব্যালটগুলো আলাদা করে ডিন কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং ক্যামেরার সামনে গণনা করা হবে।”


ভোটগ্রহণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিনভর ছিল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। তবে ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছাত্রদলসহ বেশ কয়েকটি প্যানেল।


ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং নির্বাচন আচরণবিধি উপেক্ষার অভিযোগ এনেছে ছাত্রদল। ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগ করেন, “ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কমিশন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, “ভোটে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করায় একাধিকবার ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”


ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই নির্বাচন কমিশনারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করা যায় না। তিনি বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো আমলে নেননি।” তিনি আরও বলেন, “এটি আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে—ডাকসু, জাকসুর পথেই।”


ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও কিছু শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। একই সঙ্গে ওই কেন্দ্রের এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কয়েকটি প্যানেল।


এ সময় ছাত্রদল, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, দ্রোহ পর্ষদ ও সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের নেতারা একসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশে কিছুটা সময় লাগবে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ডিন কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রশাসনের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিলেও ভোটে অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।


শেয়ার করুন