০২ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ০৮:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছে বিচারপতিদের মিলনমেলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছে বিচারপতিদের মিলনমেলা

প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের পুনর্মিলনী। বিশেষ এই আয়োজন উপলক্ষে বিভাগটি যেন তার গৌরবময় অতীতকে ফিরে পেয়েছে। আয়োজনটিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন বিচারপতি ও শতাধিক জজসহ কয়েক প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।


শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ শুরু হয়। বিভাগটির ১৯৬৭-৬৮ সেশন থেকে শুরু করে ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা এই মিলনমেলায় অংশ নেন। শুধু পেশাগত জীবনের ব্যস্ত মানুষরাই নন, তাদের অনেকেই এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, প্রিয় ক্যাম্পাসে কাটাতে এক আবেগঘন দিন।


ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, পুরোনো বন্ধু, শিক্ষক আর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে সবার মুখে ঝলমল করছে হাসি। কেউ স্মৃতিচারণ করছেন টিচার্স লাউঞ্জের আড্ডার কথা, কেউ বা স্মৃতি রোমন্থন করছেন আইনের ক্লাসরুম, সিনেট ভবন কিংবা শহীদুল্লাহ কলাভবনের করিডোরের দিনগুলো।


আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুনর্মিলনী উপলক্ষে সারাদিন থাকছে নানান আয়োজন- স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিনার এবং বিশেষ আলোচনা সভা। আইন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও এই আয়োজনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত, কারণ তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সেই সিনিয়ররা, যারা আজ দেশের বিচারব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছে বিচারপতিদের মিলনমেলা


এ বিষয়ে একজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক দিন পর প্রিয় এই ক্যাম্পাসে ফিরে মনে হচ্ছে, সময় যেন পেছনে ফিরে গেছে। এখানেই গড়ে উঠেছিল আমাদের চিন্তা, যুক্তি আর ন্যায়বোধের ভিত।


অনিভুতি প্রকাশ করে ১৯৯২-৯৩ সেশনের শিক্ষার্থী কবির ইকবাল হোসেন বলেন, ৭২ বছর পর প্রথম পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মতিহারের সবুজ চত্বর আজকে একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। অংশগ্রহণ করে আমরা খুবই উজ্জীবিত। আমরা চাই প্রতিবছর যেন এই আয়োজনটা হয়।


বাংলাদেশ বিচার বিভাগের জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট জজ ও রাবি আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বেল্লাল হোসেন বলেন, আইন বিভাগের এই ৭২ বছর পূর্তিতে এসে আমরা একটি অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করছি। ১৭ বছর পর ক্যাম্পাসে এসে ভৌত ও অবকাঠামোগত পরিবর্তন দেখছি। অনুভূতিতে আমি ফিরে গিয়েছি ছাত্রজীবনের সেই সময়টাতে। আমার স্ত্রী-সন্তান এসেছে আমার নিজের ক্যাম্পাসে, তাই অনেক ভালো লাগছে।



সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শফিকুজ্জামান রানা বলেন, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে যা অত্যন্ত আবেগময় একটি মুহূর্ত। ছোটভাই, বড়ভাই ও প্রিয় সহপাঠীদের সঙ্গে এই মিলনমেলা উপভোগ করছি প্রাণভরে।


শেয়ার করুন