 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চর দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে রাজশাহী, নাটোর ও কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর চরের নীচ খানপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকাটি কোন থানা এলাকায় পড়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
নিহতরা হলেন- চরখানপুর গ্রামের মিনহাজ মন্ডলে ছেলে আমান মন্ডল (৩৬) ও একই গ্রামের শুকুর মন্ডলের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৩)। আহতরা হলেন- আশরাফ মন্ডলের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) ও চান মন্ডলের ছেলে মুনতাজ মন্ডল (৩২)। এরমধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে নাজমুলের মরদেহ। রাকিব ও মুনতাজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে পদ্মায় জেগে ওঠা চরে খড় কাটতে যান খানপুর চরের আমান মন্ডল, রাকিব হোসেন ও মুনতাজ মন্ডল। এ সময় পদ্মার চরে কাকন বাহিনীর লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে আমান মন্ডল, রাকিব হোসেন, মুনতাজ মন্ডল, নাজমুল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
আহত অবস্থায় তাদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আমান মন্ডল মারা যান। পরে নাজমুল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আমান মন্ডলের বাবা মিনহাজ মন্ডল বলেন, চরে পতিত জমিতে খড় কাটতে যায় আমার ছেলেসহ কয়েকজন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কাকন বাহিনীর লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে।
চর খানপুর গ্রামের মুক্তার আলী বলেন, খানপুর চরের কয়েকজন লোকজন চর এলাকায় খড় কাটছিলেন। এসময় কাকন বাহিনীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে খড় কাটা চর দখল নিতে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিহার চন্দ্র মন্ডল বলেন, নিহত এবং আহতদের শরীরে অসংখ্যা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনা দৌলতপুর চরে। বাঘা থানা এলাকায় নয়। আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু নিশ্চিত হয়েছি এটা রাজশাহী বাঘা ও নাটোরের লালপুর থানা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি।

