পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের পাহাড়ি শহর জিয়ারত ও এর আশপাশের এলাকায় মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) ভোরে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগের ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টারের (NSMC) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.০। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কোয়েটা শহর থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
এই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
২০০৮ সালে জিয়ারতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০০ এর অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছিলেন। পুরো গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন নারী ও শিশু।
প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা ছাড়াও পিশিন, বোলান ও চামান জেলাও সেই সময় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০০৫ সালের উত্তরাঞ্চলীয় ভূমিকম্পে প্রায় ৭৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। আর ১৯৩৫ সালের কোয়েটার ভূমিকম্পে প্রায় ৩০,০০০ প্রাণহানি ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেলুচিস্তান প্রদেশটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেট একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এছাড়া অঞ্চলটি জনবসতি কম হওয়ায় দুর্গম এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩ নভেম্বর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফের কাছে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৭ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছিলেন। আগস্টের শেষদিকে দেশটিতে ঘটে যাওয়া আরেকটি বড় ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী আফটার-শকে ২,২০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
সূত্র- জিও নিউজ

