০৫ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০২:০৮ পূর্বাহ্ন
কলমাকান্দায় ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৭-২০২৪
কলমাকান্দায় ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় গত তিন দিনের অব্যাহত ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উব্দাখালী নদীর ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উব্দাখালী ছাড়াও উপজেলার গণেশ্বরী, মহাদেও, বাখলা, মঙ্গেলশ্বরী, বৈঠাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে অব্যাহত ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উব্দাখালীসহ সব কটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার কৈলাটি, বড়খাপন, পোগলা, খারনৈ, রংছাতি, কলমাকান্দা সদরের নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে খারনৈ ইউনিয়নের খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক। 

এছাড়া কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা, বাহাদুরকান্দা-বাসাউড়া, ঘোষপাড়া-হরিণধরা, কলমাকান্দা-সাঈদপাড়া, মন্তলা-ইসবপুর, গোবিন্দপুর-রানীগাঁও, উদয়পুর-বড়খাপনসহ আরও বেশ কিছু গ্রামীণ সড়কের স্থানে স্থানে পানিতে ডুবে গেছে। খলা, বাসাউড়া, বাহাদুরকান্দা, ডুবিয়ারকোনা, ধীতপুরসহ ২০টি বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে।

খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, আমার ইউনিয়নের বাউসাম, লক্ষ্মীপুর, শ্রীপুর, খাগগড়া, বিশ্বনাথপুর, সেনপাড়া, রুদ্রনগরসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকার সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর এক থেকে দেড় ফুট পানি বাড়লে প্রচুর বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, গত তিন দিন ধরে উব্দাখালি নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৬টায় নদীর কলমাকান্দা ডাকাবংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ঢলের পানিতে উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল আবারও নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। আমরা সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। জরুরি মুঠোফোন নম্বর খোলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত রাখা আছে।

শেয়ার করুন