রাজস্ব ও বৈদেশিক আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমে যাওয়ায় সরকার ব্যয় কমানোর দিকে নজর দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার কমানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার হারও কমিয়ে প্রাক্কলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৫১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা কমিয়ে ধরায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ব্যাপকভাবে কমাতে হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাও বাড়িয়ে ধরার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি এবং আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকার এখন বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার চাপে আছে।
তা ছাড়া ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে আসছে। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ শতাংশের ওপরে চলে গেছে। সরকারে লক্ষ্য ছিল ৬ শতাংশ রাখা। এবার তা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করতে যাচ্ছে।
বিশ্ববাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত সূচকগুলোতে প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত নেই। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবতার কাছে মনে হলেও তা এখনো দূরেই বলা যায়। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নভেম্বর শেষে ৯.৫ শতাংশের বেশি ছিল। আগামী সাত মাসে ৭.৫ শতাংশ হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। যদি সংকোচনমূলক নীতির প্রয়োগ হয় তবেই এটা সম্ভব হবে।