২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০১:১৫:৫৩ অপরাহ্ন
তিন নারী শুটারকে হয়রানির অভিযোগে শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জিডি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১১-২০২৫
তিন নারী শুটারকে হয়রানির অভিযোগে শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জিডি

জাতীয় তিন নারী শুটারকে হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান থানায় জিডিটি করা হয়েছে। 



জিডিতে শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম হায়দার সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় শুটিং দলের কোচ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করা হয়েছে। জিডিটি করেছেন হয়রানির অভিযোগ তোলা তিন নারী শুটারের একজন।


বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে জিডিতে উল্লেখ করা অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।


তিন নারী শুটার জিডিতে বলেন, তারা তিনজনই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পাওয়া শুটার। জি এম হায়দার সাজ্জাদ তাদের ওপর মানসিক নির্যাতন করেছেন। গত ২৫ অক্টোবর বিকালে সাজ্জাদ তাকে অফিসে ডেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন করেন এবং অপমানজনক কথা বলেন। একজন নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে এটি তার মানসিক কষ্টের কারণ হয়েছে। এতে তার প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোচ শারমিন আক্তার তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন এবং অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। দুই কর্মকর্তার আচরণে তিনি আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ও আরেক নারী শুটারকে শুটিং ফেডারেশনের ভেতরেই ধর্ষণের হুমকি দেন সাজ্জাদ। ৯ নভেম্বর তারা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এরপর সাজ্জাদ হুমকি দিয়ে তাকে সমঝোতা করতে বলছেন। সমঝোতা না করলে তাদের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি ও তার দুই সহকর্মী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।


অভিযোগের বিষয়ে জি এম হায়দার সাজ্জাদ গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। আর তিন নারী শুটারের মধ্যে একজন শুটিং ফেডারেশনের সদস্য নন।

শেয়ার করুন