২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন
শ্রমিকদের উচ্ছ্বাসে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২২
শ্রমিকদের উচ্ছ্বাসে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানে

চা শ্রমিকদের কাছে ২৭ আগস্ট এক নতুন ইতিহাস হয়ে থাকবে। বিগত ১৫০ বছরে এত দীর্ঘ সময় আন্দোলন হয়নি, এত বেশি মজুরিও বৃদ্ধি পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক এই ঘোষণা তাদের কাছে এক বড় অর্জন।


রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে চা শ্রমিকরা ১৭০ টাকা মজুরির খবরে আনন্দ উচ্ছ্বাস নিয়ে কাজ করছেন। প্রাণ ফিরে পেয়েছে চা বাগান। রোববার সকাল থেকে চা শ্রমিকরা দলে দলে কাজে যাওয়ার পুরানো সেই দৃশ্যপট অঙ্কিত হচ্ছে চা বাগানের রাস্তায় রাস্তায়।


জেলার রাজনগর উপজেলার ইটা চা বাগানে গেলে কথা হয় বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নাছিম আহমদ ও চা শ্রমিক ছাত্র যুব পরিষদের নেতা নুরে আলমের সঙ্গে।



তারা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই সময়ের প্রক্ষাপটে তিনি আমাদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা করে দিয়েছেন। তাই আমাদের কাছে ২৭ আগস্ট একটি ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকবে।


পঞ্চায়েত সভাপতি নাছিম আহমদ বলেন, চা বাগানের ১৫০ বছরের ইতিহাসে কখনো একাধারে ১৯ দিন আন্দোলন হয়নি। অতিতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এমনটা হয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে মজুরি বৃদ্ধি। একসঙ্গে ৫০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির ইতিহাস এই প্রথম। সব মিলিয়ে প্রধান মন্ত্রীর এই পদক্ষেপ আমাদের জন‍্য ঐতিহাসিক স্মারক।


কথা হয় চা শ্রমিক সমির মৃধা, সায়রা খাতুন, আলিমুনের সঙ্গে। তারা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর ১৭০ টাকা মজুরির ঘোষণায় আনন্দের সঙ্গে কাজে ফিরেছি।



একই উপজেলার করিমপুর চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ চা শ্রমিক জামাল খান (৭০) জাগো নিউজকে বলেন, আমার জীবনে কোনো দাবি দাওয়া নিয়ে এত দীর্ঘ সময় আন্দোলন হয়নি এবং এত বেশি মজুরি বৃদ্ধি হয়নি। এটা আমাদের কাছে সত্যিই ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

শেয়ার করুন