নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত যুবদলকর্মী শাওন মৃধার আত্মত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শক্তি জোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ নিহত শাওনের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে তার নারায়ণগঞ্জের নবীনগর বাজারের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ গণতন্ত্র হরণকারী সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলব— পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, রাজনৈতিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আর সেই কর্মসূচিতে হামলা চালানো হচ্ছে। গতকাল শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল শাওনের নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে শাওনের মা ফরিদা বেগম ও দাদির সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সান্ত্বনা দেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল জানান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল শাওনের কবর জিয়ারত করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের সহআন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, দীপু ভূঁইয়া প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন মারা যান। এ ছাড়া পুলিশের ১৫ জন এবং বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনার পর বিএনপি জানায়, নিহত শাওন যুবদলের নেতা।
তবে বৃহস্পতিবার রাতে শাওনকে যুবদল নয় যুবলীগকর্মী দাবি করে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সূত্র: যুগান্তর