২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন
সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২২
সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে যখনই কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ভারত সফরকে সামনে রেখে দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এএনআইয়ের হয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্মিতা প্রকাশ। আজ রোববার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।

এএআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ দেশের হিন্দুদের ও বিশ্ব নেতাদের আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার জোরালো সমর্থক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এখানে। 

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উগ্র চরমপন্থা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বহু দেশে বিদ্যমান। ভারতও এই সমস্যার মোকাবিলা করছে। চরমপন্থা বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হিসেবে সোস্যাল মিডিয়াকে দোষারূপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার মতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) সমাজে বাজে প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় আছি ততদিন ধরেই বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের মানুষের সম্প্রীতিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি।  আমি তাদের (সংখ্যালঘু) বলে আসছি, আপনারা আমাদের দেশের জনগণ। আপনাদের উচিত এই দেশকে ওন করা।  কিন্তু কোনো কোনো সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায় যেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। 

‘কোনো কোনো সময় এটি ঘটেছে, যেটি অপ্রত্যাশিত। আপনি ভালো করেই জানেন যে, শুধু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটে তা নয়; ভারতেও সংখ্যালঘুরা মাঝে মধ্যে ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন।’ 

সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গটি আসে। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেগুলো এমন কিছু নয়, যা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে না।

শেখ হাসিনা তার সাক্ষাৎকারে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন। 

শেয়ার করুন