নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় আছে। তারা ভাবে ইভিএমে একটি মার্কায় ভোট দিলে, অন্যটিতে চলে যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউজে জেলা পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে ভোটাররা নিরাপদ পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সংশয় আছে। তারা ভাবে ইভিএমে একটি মার্কায় ভোট দিলে, অন্যটিতে চলে যায়। আমরা কমিশনে আসার পর ৬ মাস ধরে ইভিএম নিয়ে কাজ করেছি। টেকনিক্যাল পারসনরাও ইভিএমে ভোট নিয়ে ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারেনি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের টেকনিক্যাল পারসনদের দিয়ে ইভিএমের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে বলেছিলাম, তারাও সেটি পারেনি।
ইভিএমে ত্রুটি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দপ্তরে এসে এখনও কেউ ইভিএমের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারেন। ত্রুটি থাকলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইভিএম নিয়ে লোকমুখে নানা কথা ছড়ালেও এখন পর্যন্ত কেউ ত্রুটি প্রমাণ করতে পারেনি। বরং ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হলে পেশি শক্তির ব্যবহার রোধ করা যায়, জালভোট, দু’বার ভোট প্রদান, সময়ের আগে ভোট প্রদান বন্ধ করা সম্ভব হয়।
ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা যেহেতু কম। যারা ভোটার তারা সকলেই জনপ্রতিনিধি। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন নেই বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কারণ সেখানে পেশি শক্তির ব্যবহার, নানা বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রংপুরে নির্বাচনী পরিবেশ ভাল রয়েছে। আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে। ভোটগ্রহণ হতে পারে ইভিএমের মাধ্যমে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।