বিদেশে সব ধরনের সহায়তা স্থগিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে শুধুমাত্র ইসরায়েল ও মিসরে জরুরি খাবার ও সামরিক আর্থিক সহায়তা চালু রেখেছে দেশটি। বিবিসি ও সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার শপথ নেওয়ার পর শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে ঝড় তুলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামী ৯০ দিনের জন্য বিদেশে প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করলো।
এনিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনৈতিক পোস্টে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছেন। এর ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বৈশ্বিক কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়েছে।
সিএনএন বলছে, তারা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই তারবার্তা দেখেছে।
তারবার্তার বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে রিপাবলিকান এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বিদেশে সহায়তা ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ওই তারবার্তায় বিদেশের বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচি অবিলম্বে 'বন্ধের' নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন সহায়তা স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারবার্তায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশে মার্কিন সহায়তা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না’ তা পর্যালোচনার জন্য আগামী মাসে প্রশাসন মানদণ্ড তৈরি করবে। এই পর্যালোচনার পরে সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা বা সমাপ্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ছাড়া তারবার্তায় বলা হয়েছে, এই ধরনের পর্যালোচনা ৮৫ দিনের মধ্যে শেষ করা উচিত।