০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০১:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
এস আলমের ছেলেসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
এস আলমের ছেলেসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মুনাফাসহ ৯১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


গতকাল মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাকতাই শাখা থেকে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে এবং চট্টগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে প্রায় ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলম এবং ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৫৪ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।


গতকাল দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদক সূত্র জানিয়েছে, মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সুদসহ ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আত্মসাত্ ও অর্থের প্রকৃত উত্স গোপন ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। যা দুদক দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭৮/৪৭১/ ৪৭৭ক/১০৯ ধারায়, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 


এই মামলার আসামিরা হলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান এবং পরিচালক ও এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, ইসি কমিটির সাবেক সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদ, ইসি কমিটির সাবেক সদস্য ও পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ও ইসি কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, সাবেক পরিচালক প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, ড. মো. ফসিউল আলম, আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম, সাবেক ডিএমডি তাহের আহমেদ চৌধুরী, হাসনে আলম, মো. আব্দুল জব্বার, এসইভিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এএমডি এ এ এম হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ ও মো. ওমর ফারুক খান।


অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে  কিউ এম হাবিবুল্লাহ ও মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও) মোহাম্মদ আলী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক ডিএমডি আবুল ফাইয়াজ, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম ও কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান এএমডি  মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, ভিপি মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম।


ব্যাংকটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. মনজুর হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, এসএভিপি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, দুলারি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মুছা চৌধুরী, এমএম কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রফিক, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজের স্বত্বাধিকারী এস এম নেছার উল্লাহ, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুস সবুর, আনছার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনছারুল আলম চৌধুরী, রেইনবো কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজের স্বত্বাধিকারী এরশাদ উদ্দিন, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এম এ মোনায়েম, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী ও সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সহিদুল আলম।


শেয়ার করুন