প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দু’দেশের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে জ্বালানি সহ নিত্যপণ্যের সরবরাহে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় এই সফর গুরুত্ব রাখছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, শেখ হাসিনার এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ হয় বুধবার। সেখানে দুই দেশের রাজনীতি পারস্পরিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদের ব্যবহার, বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে মঙ্গলবার কুশিয়ারা নদীর পানিবন্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা-নয়াদিল্লি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দেলোয়ার হোসেন জানান, দুই পক্ষ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হওয়া, মহাকাশপ্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব ও ব্লু ইকোনমির মতো নতুন ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দুদেশেনর সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সেই সাথে চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে জ্বালানি ও নিত্যপন্য আমাদানিতে তৎপর থাকার পরামর্শ কূটনৈতিক গবেষকদের।
প্রায় তিনবছর পর শেখ হাসিনার ভারত সফর বেশ ইতিবাচক। গবেষকরা বলছেন, এ সফর ভবিষ্যতে দুদেশের মধ্যে আরও সম্ভাবনা তৈরী করবে। সেই সাথে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকার সাথেও আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফর বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেছে। তবে ভারতের সাথে তিস্তাসহ অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে পৌঁছানোর তাগিদ দেন তারা।