চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খানকে দেওয়া হাইকোর্টের অনুমতির আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
এর আগে বালু উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে সেলিম খানের আরেকটি আবেদন গত ২৩ মে খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্ট।
এর পর রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বালু উত্তোলনের অনুমতি বাতিলের বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত হয়।
২০১৫ সালে নৌপথ সচল করার কথা বলে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। তার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় চার বছর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ২১টি মৌজায় মেঘনার ডুবোচর থেকে ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
কিন্তু সেই আদেশ ৪ এপ্রিল স্থগিত করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন চেম্বার জজ আদালত।
নথিপত্রে দেখা যায়, মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সেলিম খান।
সর্বশেষ ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল করা হয়। এক হাজার ৪৪০ দিন দেরিতে লিভ টু আপিল করায় বিলম্ব মার্জনাও চাওয়া হয়। এদিকে বালু উত্তোলনের অনুমতি চেম্বার আদালতে স্থগিত হওয়ার পর ফের অনুমতি চেয়ে সেলিম খান আরেকটি আবেদন করেন। দুদিন শুনানি শেষে সোমবার তা খারিজ করেন উচ্চ আদালত।
সেলিম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।