রাজধানীর রমনা থানাধীন বড় মগবাজার এলাকায় ২২৭ নম্বর গ্র্যান্ড প্লাজা বাড়ির সাত তলার নিজ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ইকবাল উদ্দিন আহমেদ (৭২) নামে এক চিকিৎসক।তার পরিবার-পরিজন থাকেন সবাই দেশের বাইরে। দুই সপ্তাহ ধরে স্বজনরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে ফ্ল্যাটটিতে পাওয়া গেল তার অর্ধগলিত লাশ।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ইকবাল উদ্দিনের জামাতা আরিফুর রহমান সিদ্দীক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার শ্বশুর সৌদিতে শাশুড়ি (হাবিবা বেগম) ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। সেখানে চিকিৎসক পেশায় কাজ করতেন তিনি। সৌদিতে দুইবার স্ট্রোক করার পর ৫-৬ বছর আগে তিনি দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে বড় মগবাজারে নিজের ফ্ল্যাটটিতে একাই থাকতেন তিনি।সর্বশেষ দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে তার। এরপর থেকে ফোনের রিং হলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার বাড়ির কেয়ারটেকার সার্ভিস চার্জের জন্য ফ্ল্যাটে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে পরে স্বজনদের জানান কেয়ারটেকার। এরপর পুলিশকে জানালে তারা এসে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। বাসার বাথরুমে উপুর হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।বেশ কয়েকদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় লাশে পচন ধরেছে।
রমনা থানাধীন সিদ্ধেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মোফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ইকবাল উদ্দিনের স্ত্রী-মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। তাদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে কোনো যোগাযোগ হচ্ছিল না। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯- এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে ওই বাসা থেকে ডা. ইকবাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীর অর্ধগলিত ও পোকা ধরা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এসআই জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।