জাতীয় জেল হত্যা দিসব উপলক্ষ্যে অসহায় ও দু:স্থদের পেটপুরে খাওয়ালেন মানবতার ফেরিওয়ালা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১ টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা সিনেমা হল মোড় লবঙ্গ চাইনিজ ও ফাস্টফুড রেস্তোরার মেহমান খানায় এই খাবার খাওয়ানো হয়।
এসময় বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু উপস্থিত ছিলেন।
মেহমান খানায় রিকশা-ভ্যান চালক, অটোচালকসহ দিনমজুরসহ দু:স্থ ও অসহায়রা রাতের খাবার পেটপুরে খায়।
জানা যায়, শুধু জেলা হত্যা দিবস বলে নয়, প্রতিটি জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে আত্মতৃপ্তিবোধ করেন সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু।
আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, সবাই যেখানে রেস্টুরেন্ট খুলে লাভ-লোকসানের হিসাব করতে ব্যস্ত থাকেন, তিনি সেখানে একেবারেই অন্যরকম। রেস্টুরেন্টের অতিরিক্ত বা বেঁচে যাওয়া খাবারদাবার নয়, বরং বিশেষভাবে রান্না করা খাবার দিয়েই মেহমানদারি করেন তিনি অভুক্তদের। ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি- এসব থাকে খাদ্যের তালিকায়।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় জেল হত্যা দিবসে দু:স্থদের মাঝে খাওয়াতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ১৯৭৫ এর এই দিনে জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়। এই চার নেতার মধ্যে রাজশাহীর কৃতি সন্তান শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ছিলেন অন্যতম। রাজশাহীবাসী এমন কৃতি সন্তানকে হারিয়ে মর্মাহত । আমি এই জাতীয় শহীদ চার নেতার রুহের আত্মার মাগফিরাত ও দোয়া কামনা করছি। আগামীতে দু:স্থদের জন্য এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
মেহমান খানায় খেতে আসা শাহজানান বলেন, ‘এখানে আমি নিয়মিত খেতে আসি। এখানে পেট ভরে, মন ভরে খাওয়ানো হয়- এটা খুবই ভালো লাগে। জাতীয় জেল হত্যা দিবসে আজিজুল আলম বেন্টু আমাদের মতো মানুষের কথা ভেবেছেন। এতে আমরা অনেক খুশি। এই মহান চার নেতার জন্য আমরা দোয়া করি পাশাপাশি আজিজুল আলম বেন্টু তিনি যেন দীর্ঘজীবি হন।