২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন
পুঠিয়ায় জমে উঠেছে আমের বাজার
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২২
পুঠিয়ায় জমে উঠেছে আমের বাজার

রাজশাহী জেলার বড় আমের হাটগুলোর মধ্যে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটের নাম প্রথমে আসে। এই হাটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আম কেনাবেচা হয়ে থাকে। এই হাট ছাড়াও মৌসুমভিত্তিক উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে কয়েকটি স্থানে অস্থায়ীভাবে আমের বাজার গড়ে উঠেছে। 

বর্তমানে গোপালভোগ, লখনাভোগ, রানিপছন্দ, খিরসাপাতসহ (হিমসাগর) প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের ভেতরে বাকি কয়েকটি জাতে আমবাজারে আসবে। 

সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বানেশ্বর হাটের পেঁয়াজ হাটায় এবং বিড়ালদহ এলাকাজুড়ে আমের অস্থায়ী হাট বসেছে। বিশাল আমের হাটে প্রতিদিন সকাল থেকে কেনাবেচা চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে বানেশ্বর আম হাট এখন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। 

যার ফলে পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট উপজেলা এবং নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বেশিরভাগ আম বিক্রেতাগণ আম বিক্রি করতে আসছেন বানেশ্বর ও বিড়ালদহ বাজারে। এ ছাড়া বেলপুকুর শাহবাজপুর শিবপুরহাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকাগুলোতে অস্থায়ীভাবে আমের বাজার বসেছে। 

আম বিক্রেতারা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাজার অনেক ভালো। গোপালভোগ এক মণ আম এক হাজার ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিমসাগর-বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৯০০ টাকা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতের স্থানীয় আটিজাতের আম প্রকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। 

আড়তদার ও আমচাষিরা বলছেন, এ বছর ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণে আম উৎপাদন কম হয়েছে। যার জন্য আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট ও খুলনা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছে। 

পুঠিয়ার আমবাগান মালিক আব্দুল আউয়াল যুগান্তরকে বলেন, রাজশাহী জেলার সর্ববৃহৎ আমের বাজার হিসাবে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটের সুনাম রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা বাজার ঘুরে দেখেশুনে নিজেরাই চাষিদের কাছ থেকে আম কিনছে। 

অপর এক আমচাষি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে এখানে অল্প খরচে ভালো দামে আম বিক্রি করা যায়। আম ব্যবসায়ীরাও খুব সহজেই বানেশ্বরবাজার থেকে আম কিনে করে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাতে পারেন। 

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন জানান, জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ টন। সেই হিসেবে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ টন আম উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন