০৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ১২:১৮:৪১ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে এবার আরেক আ.লীগ নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৫-২০২৪
নরসিংদীতে এবার আরেক আ.লীগ নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীর রায়পুরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া হত্যাকাণ্ডের ৬ দিনের মাথায় নরসিংদীর ভগিরতপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 


মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে ভগিরথপুর ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

 

নিহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসান মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভগিরথপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন সাইদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ।


পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজনীতি ও এলাকার আধিপত্ব বিস্তার নিয়ে মাহাবুবুল হাসানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৮ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়। এরই জের ধরে সম্প্রতি শেকেরচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষ হয়। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মাহাবুবুল হাসান মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকমীদের সঙ্গে মিটিং শেষে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। 


মাহাবুবুল হাসান তার সঙ্গে কয়েকজন সর্মথক নিয়ে পায়ে হেঁটে ভগিরথপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর পরিচালনাধীন ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাহাবুবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে কুপাতে থাকে। এতে তার মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 


নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।


এর আগে ২২ মে নরসিংদীর রায়পুরায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সর্মথকদের হাতে নিহত হন রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুমন মিয়া। 


শেয়ার করুন