আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে গোটা যশোর এখন উৎসবের নাগরীতে রূপ নিয়েছে। রঙ-বেরঙের পোশাক, ক্যাপ, গেঞ্জি পরে ব্যা ন্ড পার্টির তালে তালে মিছিল-স্লোগান নিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করছেন যশোর স্টেডিয়ামে। দুপুর হওয়ার আগেই জনসভাস্থল জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো যশোর জেলা এখন মিছিলের নগরী। যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভোর থেকে দলে দলে নেতকর্মীরা স্টেডিয়ামে এসে জড়ো হয়েছেন। বৃহত্তর যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষের স্রোত এসে মিশেছে এখানে। ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
দুপুর ২ টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাস্থলে আসার কথা রয়েছে। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য্ রাখবেন তিনি।
এরইমধ্যে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যোমে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সভায় সূচনা বক্তব্যত দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।
মঞ্চে আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যে পীযুষ ভট্টাচার্য, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ মঞ্চে আছেন।
পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যেখানে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ভাষন দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়েই একদিন পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিতে যাচ্ছেন। ইতিহাসের সেই পুনরাবৃত্তি দেখার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
ঠিক পাঁচ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর পর এবার যশোরে বক্তব্যে রাখবেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই দলীয় ব্যানারে শেখ হাসিনার প্রথম জনসভা।