মহামারী করোনাভাইরাসে গত ৭ দিন পর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ১৩১ জনের দাঁড়ালো। এর আগে গত ২৩ মে দুই জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া এ সময়ে নতুন করে আরও ৩৪ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। ফলে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮১ জনে।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ৫ হাজার ৩৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৩৪ জন শনাক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২ হাজার ৫৯১ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূণ্য দিন পার করে বাংলাদেশ। এরপর সম্প্রতি আবার করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।