২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন
বৈধভাবে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি, বাড়ছে হুন্ডি: বিশ্বব্যাংক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১২-২০২২
বৈধভাবে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি, বাড়ছে হুন্ডি: বিশ্বব্যাংক

বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি হওয়ায় অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে (হুন্ডি) রেমিট্যান্স আসছে। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। খোলাবাজারের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে বিনিময় হার কম, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের অপর্যাপ্ততার কারণে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে কম। বৈশ্বিক মন্দা ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবেও রেমিট্যান্স কমছে। এসব কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমবে ১০০ কোটি ডলার। 

গত বছর দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এবার তা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার হতে পারে। রেমিট্যান্স কমায় বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্রে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এতে মুদ্রা বাজারেও বাড়তে পারে অস্থিরতা। 

বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেছে। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমলেও ভারত, নেপালে বাড়বে। ভারত এবার ১০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স অর্জন করছে।

এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি। এক্সচেঞ্জ হাউস বা ব্যাংকগুলো নানা ফি আদায় করে বলে রেমিট্যান্সের খরচ বেশি পড়ে। এছাড়া বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাও সীমিত। ফলে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসায় চলতি বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৭ শতাংশ কমতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। ওই সব দেশে মন্দার আঘাত কম থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী ও উচ্চ আয়ের কর্মী কম। কর্মীদের একটি অংশের অবৈধ বা স্থায়ী কাজের সংস্থান নেই। যে কারণেও রেমিট্যান্স কমছে। ইউরোপের দেশগুলো দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স অঞ্চল। ওই সব দেশে মন্দা থাকায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।

এতে বলা হয়, বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে গড়ে খরচ পড়ে ১১ শতাংশের মতো। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসে সাড়ে ৬ শতাংশ। মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো এখনো বৈধতা পায়নি। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে না বললেই চলে। কারণ এ খাতে কাঠামো নেই। ব্যাংক ও মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে আসে। এতে খরচ বেশি। 

শেয়ার করুন