২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন
দুর্গাপুরে নৌকা বিরোধী নেতারা বক্তব্য দেয়ায় ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১২-২০২২
দুর্গাপুরে নৌকা বিরোধী নেতারা বক্তব্য দেয়ায় ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ

 দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপির অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন।

তবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ‘নৌকা বিরোধী’ নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হলেও ত্যাগী নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ত্যাগী নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রেসক্লাব মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় একে একে জেলা ও উপজেলার নেতাদের বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও নিয়ম ভেংগে নৌকা বিরোধী নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হয়। এতে তাৎক্ষনিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন ত্যাগী নেতারা।

ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, সদ্য শেষ হওয়া পৌরসভার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরোধীতা করে নৌকা ডুবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন কয়েকজন নেতা। ওই নেতারাই গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নাশকতামুলক কর্মকান্ডের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অথচ বারবার ওই নেতাদের সামনের সারিতে এনে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেয়া হয়। আর ত্যাগী নেতাদের কোণঠাসা করে রাখার পাঁয়তারা করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভার উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন কয়েকজন নেতা। অথচ আমাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ না দিয়ে তাদেরকেই বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে নেতা কর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতেও নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীরা পার পেয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, অনেকেই বক্তব্য দিয়েছেন। কে কে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, এসব লিখে লাভ নেই। যা খুশি তাই লিখতে পারেন এমন দম্ভোক্তি দেখিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। যার কথোপকথনের কল রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

শেয়ার করুন