যুক্তরাষ্ট্রে গত এক সপ্তাহে ভয়াবহ তুষারঝড়ে কমপক্ষে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কিছু কিছু এলাকার আবহাওয়া গত ১৫০ বছরের আবহাওয়ার রেকর্ড ভেঙেছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে আছেন বেশ কয়েকটি রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। খবর সিএনএনের।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের বাফেলোতে। শহরটিতে ৪৩ ইঞ্চি পুরো তুষারের স্তর জমেছে। তীব্র ঠাণ্ডা আর বাতাসে বাফেলোর সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এরি কাউন্টির নির্বাহী মার্ক পোলানকারজ বলেছেন, রোববার বাফেলোতে ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বেশ কয়েকজনের মরদেহ গাড়ির ভেতর এবং তুষারের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পোলানকারজ আরও বলেন, নিউইয়র্কের বাফেলোতে গত শুক্রবার থেকেই যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এরি কাউন্টির কয়েকশ মানুষ নিজেদের গাড়িতে আটকা পড়েন। পোলানকারজ এক টুইটবার্তায় লিখেছেন— 'এমন বড়দিন আমাদের কেউ আশা করেনি কিংবা ধারণাও করেনি। যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।'
জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ বলছে, এবারের তুষারঝড় নজিরবিহীন। কানাডার নিকটবর্তী গ্রেট লেকস থেকে মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত তুষারঝড় বয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ আবহাওয়াবিষয়ক পরামর্শ কিংবা সতর্কতার আওতায় রয়েছেন। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।
নর্থ বাফেলোর বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জন বার্নস বলেন, ঝড়ে তিনি এবং তার পরিবার ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিজেদের বাড়িতে আটকা পড়েছেন। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মনটানায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল প্রায় মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।