২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন
বিদ্যুৎ না পেলে যেভাবে চলবে মেট্রোরেল
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১২-২০২২
বিদ্যুৎ না পেলে যেভাবে চলবে মেট্রোরেল

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে উত্তরায় এর উদ্বোধন করেন তিনি। আর এর মাধ্যমেই মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালাতে বিদ্যুৎ লাগবে; তাই এ ট্রেনে সরবরাহ করা হবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ। পাশাপাশি জরুরি সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারির ব্যবস্থা।

ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বা ইএসএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মেট্রোরেলে; চলাচলের সময় ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম থেকে চার্জ হতে থাকবে ব্যাটারি।

কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের ইএসএস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।

ইএসএস মূলত ব্যাকআপ সিস্টেম, যা ট্রেনের রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এনার্জি দিয়ে নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে।

ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে।

স্টেশন : মেট্রো স্টেশনগুলো হলো-উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এবং কমলাপুর। 

সরকার ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে। বাস্তবে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এ প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে রয়েছে-জাপান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। শুরুতে প্রকল্পের আকার ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রসারণ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণ, কিছু স্টেশনে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ, পরামর্শকের পেছনে ব্যয় বৃদ্ধি, বাড়তি ভ্যাটের কারণে আরও প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের লাইন-৬ এর খরচ দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকার এই প্রকল্পে খরচ করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন