বিএনপি ও সমমনাদের যুগপৎ আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আজকের খবর জানেন— পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২-দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে— সব মিলিয়ে ২৪ জন। সাতদলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে, মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। ১টা পর্যন্ত তিন দল উপস্থিত ছিল চার দল নেই। সাতদলীয় ঐক্যজোট, তার পর ১২ দল বিএনপির সমমনারা দেখলাম। ওই এলাকা (পল্টন) জুড়েই আছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটি স্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাতকেন্দ্রিক। তার পরে এলডিপি দেখলাম সেই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতেগোনা বসে আছেন। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ভুয়া... ভুয়া... ভুয়া... এটি গরুর হাট।
বিএনপিকে বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যেতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতা পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে।এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।
তিনি বলেন, বিএনপি নামক এই অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। এদের হাতে ক্ষমতা আমরা তুলে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কী দেখাবেন আপনারা? মুখে মিথ্যাচার আর বিষোদগার। আপনাদের নেই মেট্রোরেল, নেই পদ্মা সেতু, নেই বঙ্গবন্ধু টানেল, নেই উড়াল সেতু, নেই আন্ডারপাস, নেই একদিনে শত সেতু— কে করেছে? শেখ হাসিনা।
এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা করছে। আমি কোনো কোনো অনলাইনে দেখলাম যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কেন? ১০ জানুয়ারি তো বিএনপির হৃদয়েও নেই চেতনাতেও নেই। ১০ জানুয়ারি তারা করেনি।