২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৩০:৫৫ অপরাহ্ন
নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৩-২০২৩
নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা

 মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বুধবার (৮ মার্চ) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।

ফলে জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত এক যুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে।

ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ‘জয়িতা’ কার্যক্রমের সূচনা করেন।

জয়িতার কার্যক্রম বর্তমানে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশব্যাপী নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। ‘জয়িতা’কে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা বিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তুলে ধরে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশ তৃতীয় কমিটির সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এই কমিটি অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষায় কাজ করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশকে জাতিসংঘের নারী ও শিশু বিষয়ক কার্যক্রমে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে। তিনি বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধিত্বমূলক এসব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

একইদিন প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক ইউগোচি ড্যানিয়েলন্স সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।

শেয়ার করুন