ইংল্যান্ডের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস ও রনি তালকুদার।
৪৫ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে রনি আ্উট হওয়ার পরও সেই স্বপ্ন টিকে ছিল। দ্বিতীয় উকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪৮ বল ৮৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনার লিটন দাস।
তাদের এই জুটিতেই মনে হয়েছিল বড় স্কোর গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫৭ বলে ৭৩ রান করে দলীয় ১৩৯ রানে লিটন আউট হওয়ার পর রান সংগ্রহ স্লথ হয়ে যায়।
নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মার কাটিং ক্রিকেট খেলতে পারেননি সাকিব। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৮ বলে মাত্র ১৯ রান করার সুযোগ পান। অথচ এই সময়েই প্রতি বলে একাধিক রান হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে পারেননি সাকিব-শান্তরা। যে কারণে ২০ ওভারে ১৫৮ রানে ইনিংস শেষ হয়।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ সূচনা করেছেন অভিজ্ঞ ওপেনার লিটন কুমার দাস। ওপেনিং জুটিতে তাড়া ৪৫ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ২২ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করে ফেরেন রনি।
এরপর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন লিটন। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ৬৮তম টি-টোয়েন্টিতে তুলে নেন নবম ফিফটি।
শুধু তাই নয় এদিন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৬৯ রানের।
৭৩ রানে লিটন আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটিতে প্রত্যাশিত রান করতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তারা ১৮ বলে মাত্র ১৯ রান করতে পারেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৫৮ রান।
৩৬ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বল খেলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।