চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র ২০ দিন পরেই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর মানুষের এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। সব ব্যস্ততা শেষে ঈদের আগ মুহূর্তে প্রিয়জনের সঙ্গে বিশেষ দিনটি কাটাতে অধিকাংশ মানুষ পাড়ি জমান গ্রামে। অল্প সময়ে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ায় সড়ক থেকে রেলপথ- সব জায়গায় থাকে বাড়তি চাপ। ফলে এই সময়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীরা। তাই অনেকেই ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে আগে আগেই ফেরেন গ্রামে।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাড়ি ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন নজমুল ইসলাম। স্ত্রী ও ছোট এক সন্তান নিয়ে থাকেন ঢাকাতেই। ঈদের আগ মুহূর্তে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় ছোট সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তখন বাড়ি ফেরা কষ্টসাধ্য। এ কারণে আগে আগেই স্ত্রী-সন্তানকে জামালপুরে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
জাগো নিউজকে নজমুল বলেন, ঈদের আগে অনেক ভিড় থাকে। তখন ছোট সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাওয়া অনেক ভোগান্তির। টিকিট পাওয়া, ট্রেনে ওঠা নিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব ঝামেলা যেন না পোহাতে হয় তাই আগেই স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মুন্সিগঞ্জে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়েন ইমন মিয়া। ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগেই নেত্রকোনায় নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন ইমন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধুদের অনেকেই বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাই আমিও বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঈদের আগে এমনিতেও অনেক ভিড় থাকে। তাই ভোগান্তিতে যেন না পড়তে হয় সেজন্য আগেই বাড়ি যাচ্ছি।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে জামালপুর যাবেন মো. নাইমুর রহমান মাহিন। তিনি বলেন, ঈদের আগে অনেক চাপ থাকে। টিকিট পাওয়া ঝামেলা হয়ে যায়। বাড়িতে যেহেতু যেতেই হবে, তাই আগেই চলে যাচ্ছি।
এদিকে টিকিট কালোবাজারি রোধে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম করেছে রেলওয়ে। নিবন্ধন করে রেলের টিকিট কাটতে হচ্ছে যাত্রীদের।