২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন
বাগমারায় পরিচালকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৪-২০২৩
বাগমারায় পরিচালকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারার হাসনিপুরের সেই বিবাদমান জমি পুলিশের সহযোগিতায় দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।পুলিশ উপস্থিত থেকে এক পক্ষকে জমিটি দখলে নিতে সহযোগিতা করে।

উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।তবে পুলিশের দাবি, পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিল।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামালপুরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক তোজাম্মেল হকের জমি তোরা ফাউন্ডেশন নামের এক সুদকারবারি প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়।

তবে জমিটি ভূয়া মালিকের কাছ থেকে কিনে নিয়ে রাতারাতি দখলের চেষ্টা করে তোড়া ফাউন্ডেশন। এসময় টের পেয়ে প্রকৃত মালিক বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়।

পুলিশ সাজানো ওই মামলায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তিনিসহ মামলার সব আসামিরা জামিনে আছেন।

এদিকে তোরা ফাউন্ডেশনের পরিচালক কামরুজ্জামান জমিটি ভাড়াটে লোকজন দিয়ে একাধিকবার দখলের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের বাধার কারণে পারেনি। এদিকে সোমবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় বিবাদমান ওই জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করা হয়।

ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জমিটি দখল করেন।এসময় জমির প্রকৃত মালিক ও তাঁর আত্মীয় স্বজনেরা বাধা দিতে আসরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।

এসময় এক তরুণকে আটক করে। পরে পুলিশ পাহারা দিয়ে বিবাদমান জমিতে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ সেখানে অবস্থান করে।

এ নিয়ে সোমবার সকালে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় গনিপুরের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু অভিযোগ করেন, পুলিশের সহযোগিতায় জমিটি দখল করা হয়েছে।এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।

তোরা ফাউন্ডেশনের পরিচালক কামরুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমিটি আমার প্রতিষ্ঠানের তাই সেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি কারো জমি দখল করিনি।

এছাড়াও তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত থেকে জমি দখল করে দেন। তারা পুলিশের কাছে নিজেদের অভিযোগ নিয়ে আসলে উল্টো নাশকতা মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন।

পরিদর্শক তৌহিদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি। তবে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিল। তবে পুলিশের সহযোগিতায় জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়।

শেয়ার করুন