২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৭:২৪ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৪-২০২৩
রাজশাহীতে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার

এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) অভিযানে দুই হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত দুই জনকে আরএমপি বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে রাজশাহী বিভাগীয় এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাজশাহী এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) উপ পুলিশ কমিশনার রাকিব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, গত ১৬ এপ্রিল এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) একটি অভিযানিক দল নিজস্ব ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালীয়া থানাধীন বালিয়াপুকুর থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” এর সক্রিয় সদস্য মামুন অর রশিদ @ মুন্না (২৭) কে গ্রেফতার করেছিল। তার পিতা- মো; আনিসুর রহমান, মাতা- লুতফা বেগম, গ্রাম- বিশ্রামপুর, থানা- বালিয়াডাঙ্গী, জেলা- ঠাকুরগাঁও। মামুন অর রশিদ @ মুন্নার দেয়া তথ্য মতে চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার কাজিরখিল থেকে মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) গত ১৭ এপ্রিল সকালে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার কাজিরখিল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ একজন সক্রিয় সদস্য মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। তার পিতার নাম- বাবুল মিয়া, মাতা- খুকু মনি, গ্রাম- কাজিরখিল, থানা- হাজীগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ৩য় বর্ষের ছাত্র। গ্রেফতারের পর মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্তির পরে তার রাজশাহীর মেস বাড়িতে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে তার দেখানো মতে কক্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহবান, দল গঠনের প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র বিরোধী লেখনীসহ আরো বিভিন্ন কথিত জিহাদী ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়।

আরো জানানো হয়, বোয়ালিয়া থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন অর রশিদ@মুন্না ২০১৬ সাল থেকে হিযবুত তাহরীর এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ এর কতিপয় সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, দেশে অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনলাইন ও সাইবার স্পেসের মাধ্যমে উগ্রবাদী, জননিরাপত্তা , জনমনে ত্রাস ও আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। এছাড়াও তারা রাজশাহী শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হিযবুত তাহরীরের পক্ষে রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য সম্বলিত পোস্টার প্রচার করে আসছিল। তারা তধহমর (জাঙ্গী) নামক মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন সিক্রেট গ্রুপের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান করত। গ্রেফতারকালে মামুন অর রশিদ@মুন্নার কাছ থেকে উগ্রবাদী প্রচার-প্রচারণায় ০৩ টি মোবাইল ফোন, ০৩ টি সিম কার্ড, হিযবুত তাহরীরের খিলাফত প্রতিষ্ঠা বিষয়ক ১১ টি কন্টেন্ট এর কপি ও হাতে লেখা নোটবুক জব্দ করা হয়। আসামী মামুন, মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেন এবং অন্যান্য পলাতক আসামীদের নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় পাঠচক্র আয়োজন করে এসকল কন্টেন্ট এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করত।

গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন অর রশিদ মুন্নার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-২৬, তারিখ- ১৭/০৪/২০২৩ সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৮/৯(৩)/১০/১৩ ধারা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেনকে উক্ত মামলায় সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত মামুন অর রশিদ মুন্নাকে ৪ দিন ও মো: ইসহাক @ মো: ইসমাইল হোসেনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

শেয়ার করুন