২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন
লিটনকেই চান রাজশাহীর মানুষ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২৩
লিটনকেই চান রাজশাহীর মানুষ

তফশিল ঘোষণার পর থেকেই ভোটের আলাপ শুরু হয়েছে রাজশাহী নগরে। সাধারণ মানুষ এবারের নির্বাচনেও সিটি মেয়র হিসেবে বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেই আশা করছেন।

তারা বলছেন, খায়রুজ্জামান লিটন উন্নয়নে পরীক্ষিত মেয়র। তার জন্য রাজশাহী নগরী এখন দেশের পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপ পেয়েছে। এছাড়া লিটনের বিকল্প নেতা এখন রাজশাহীতে কেউ নাই।

বুধবার বৈশাখের তপ্ত দুপুরে রাজশাহী নগর ভবন এলাকায় ছাতিম গাছের তলে বসে জিরাচ্ছিলেন আর থেমে থেমে কথা বলছিলেন একদল রিকশা চালক। তাদের কথায় ভেসে আসছিলো ভোটের কথা। আল ফারুক নামের এক রিকশা চালক বলছিলেন, এখন দিনে রাতে রিকশা চালাতে আর কোনো সমস্যা হয় না। মসৃণ সড়ক, উজ্জাল সড়ক বাতি। সবকিছু পরিস্কার- ঝকঝকে তকতকে।

গত ৫ বছরে মেয়র সাহেব (এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন) যেভাবে উন্নয়ন করেছেন এমন উন্নয়ন তো কোনদিন কেউ আগে করেনি। তাই তাকেই (লিটন) ভোট দেওয়া উচিত। তারসঙ্গে সায় মিলিয়ে অন্যরা বলছিলেন মেয়র সাহেব (লিটন) রাজশাহীতে যা যা করেছেন-এমন কাজ তো কেউ করে নি। অনেকে তো আগে মেয়র হয়েছে। মিনুও একসময় মেয়র ছিলো। বুলবুলও ছিলো-তারা কিছুই করতে পারেনি। আর লিটন সাহেব উন্নয়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন বাইরের জেলার লোকেরা এসে রাজশাহীর সৌন্দর্য্য দেখে ‘পাগল’ হয়ে যায়। রিকশা থেকে নেমে সেলফি তুলে ফেসবুেেক ছেড়ে দেয়। ইলিয়াস নামের এক পথচারি তাদের সঙ্গে দাড়িয়ে মাঝে মাঝে সায় দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন ‘আবার ভোট চলে এলো! এবারো আমরা চোখ বুজে লিটনকেই ভোট দিতে যাব।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শহরের পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে এখন এমন ভোটের আলোচনা-আলাপ শুরু হয়েছে। বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সফলতা-ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণও করছেন মানুষ। চলছে পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবও।

অটোরিকশা চালক নগরীর সফুরা এলাকায় এসরাফিল বললেন, দেখেন- ‘এই রাস্তাটা আগে সরু ছিল। এখন চওড়া হয়েছে। যে ড্রেনের ওপর বসে আছি, সেটাও নতুন করে তৈরি করা। মিথ্যা বললে তো হবে না, উন্নয়ন প্রচুর হয়েছে গত পাঁচ বছরে। উন্নয়ন হতেই আছে। এর চেয়ে কি উন্নয়ন হবে? সমস্যা একটাই, মানুষের কর্মসংস্থান তেমন হয়নি। এটা করা গেলে মানুষ আরও বেশি খুশি হতো।’

ভোট নিয়ে আগ্রহের কথা বললেন নগরীর বর্ণালীর মোড়ের মুদি দোকানী তরিকুল। তার কথায় ভোট আসছে, ভোট দেবো। ভোট নষ্ট করবো না। এমনও হতে পারে যে, আমার একটা ভোটের কারণে (প্রার্থী) ফেল করছে।’ ভুল করা যাবে না। আবারো লিটনকেই আমরা ভোট দেবো। তিনি বলেন, ‘শহরে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন করে লিটন দেখিয়ে দিয়েছেন।

রাজশাহীর সাধারণ মানুষ ভোট নিয়ে এত হিসাব-নিকাশ করলেও প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে কোনো হিসাব-নিকাশে নেই রাজশাহীর বিএনপি কিংবা অন্য দলের। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আবারো প্রার্থী।

রাজনৈতিকদের বাইরে সাধারণ মানুষ বলছেন. কে প্রার্থী হলো দেখার বিষয় নেই। কাউকে গণার টাইম নাই। লিটন নৌকার প্রাথী তাকেই ভোট দেবো। কেন ভোট দেবেন- বলতেই রাঙা চোখে তাকিয়ে একজন বলছেন উন্নয়ন দেখেছেন রাঝশাহীর ? এরপরেও বলছেন কেন লিটনকে ভোট দেবো। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন, আমরা এবারো তাঁকে আবারও জয়ী করেই আনবো।’

রাজশাহীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খায়রুজ্জামান লিটন দুইবার মেয়র হয়েছেন। তিনি প্রতিবারই শহরে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এখন রাজশাহী পরিচিতি পেয়েছে দেশের সেরা শহর হিসেবে। তাই আসছে নির্বাচনেও লিটনকে আবারো ভোট দিয়ে জয়ি করবেন রাজশাহীবাসী।

খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রাজশাহী সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। পরের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে। তারপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই বুলবুলকেই পরাজিত করে আবার মেয়র হন লিটন। এরপর পরিকল্পিত ভাবে নগরীতে সাজিয়ে তোলে লিটন। তার এমন পরিকল্পনায় রাজশাহীবাসী এখন খুশি ও গর্বিত।

সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে এমন অনুভূতির খবর পাওয়া যায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এখন ফেসবুক খুললেই সবার আগে চোখে পড়ে রাজশাহী উন্নয়ন।

প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আলাপ আলাচনা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। তবে এখনো বিএনপি বা অন্য কোনো দলের কোনো প্রার্থীতার আওয়াজ পাওয়া যায় নি। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পর মাঠে সোচ্চার রয়েছে আওয়ামী লীগ। নগর আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন ঈদের দিন থেকেই ভোটের প্রচার শুর হবে জোরে সোরে।

শেয়ার করুন