০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িতে ফেতরার টাকা নেওয়ার অজুহাতে দিনের বেলা বাড়িতে ঢুকে চুরি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৩
ফুলবাড়িতে ফেতরার টাকা নেওয়ার অজুহাতে  দিনের বেলা বাড়িতে ঢুকে  চুরি

২৫ এপ্রিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুরের হাজির মোড়ে ফেতরার টাকা নেওয়ার অজুহাতে সাবেক বিজিবি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিনের  বাড়িতে ঢুকে ৩৮,৬০০ ইউএস ডলার,যার বাংলাদেশী মূল্য মূল্য ৪০ লক্ষ ৯১ হাজার ৬ শত টাকা, ও বাংলাদেশী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নেয় প্রতারক চক্র।


ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে প্রতারক চক্রের মূল হোতা স্থানীয় গড় ইসলামপুর (জোলাপাড়ার) বাসিন্দা রেনু বেগম প্রথমে জহির উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করেন ফিতরার টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য। জহির উদ্দিনের কাছ থেকে ফেতরার টাকা নিয়ে চলে যান রেনু।

কিছুক্ষণ পর একই এলাকার ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আবারও সেই বাড়িতে প্রবেশ করেন প্রতারক চক্রের মূল হোতা রেনু।

বাড়িতে প্রবেশ করে রেনু অভিযোগ করেন ৮৯ বছর বয়সি জহির উদ্দিন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে এই মর্মে জহিরদ্দিনের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যরা।

জহিরদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিবেন মর্মে হুমকি প্রদান করেন, একপর্যায়ে তারা জহির উদ্দিনের ঘরে লুটপাট শুরু করেন, সেখান থেকে ১২ হাজার টাকা লুট করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা, এরপর জহির উদ্দিনের ছোট ছেলে সালাউদ্দিন রিপনের ঘরে গিয়ে আলমারিতে রাখা ৩৮ হাজার ৬০০ ইউএস ডলার ও বাংলাদেশী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয় প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় দুইজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারধর করে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্রের সদস্য বৃন্দ।

মোবাইল ফোনে ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণিক ছুটে আসেন জহির দিনের পরিবারের সদস্য বৃন্দ , প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখে ঘটনার সত্যতা জেনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাক্ষী গনকে নিয়ে ফুলবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করেন ।জহিরদ্দিনের বড় ছেলে মহিউদ্দিন।

অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডলার এবং টাকা উদ্ধার করতে মাঠে নামেন ফুলবাড়ী থানা পুলিশের একদল চৌকস অফিসার।

 ঘটনার খবর জেনে দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার তৎক্ষণিক দিনাজপুর সদর সার্কেলের অফিসার শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন কে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফুলবাড়ী থানায় উপস্থিত হয়ে সদর সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।

পরে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আশ্রাফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের চৌকস অফিসার আরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কিছু ডলার এবং টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

চলমান অভিযানে ২৫ এপ্রিল রাতেই সমস্ত ডলার এবং টাকা উদ্ধার করেন ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।

পাশাপাশি অভিযুক্ত ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন দিনাজপুর সদরের সার্কেল শেখ মোহাম্মদ জিন্না আল মামুন,সঙ্গে ছিলেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আশ্রাফুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং শেষে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ২৬ মার্চ দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সফর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত অসামিরা হলেন  মোছাঃ রেনু বেগম, নাহিদ হাসান শুভ, সোহানুর রহমান সোহাগ,সুজন,মেনাজুল  আব্দুল জলিল, আনোয়ারুল মন্ডল, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, কামরুজ্জামান, শামিম নবিউল ইসলাম।


এই ঘটনা এলাকায় চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন