০৮ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ০৮:৪১:৩৭ অপরাহ্ন
ভোটকেন্দ্রে মিঠুনকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান!
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৬-২০২৪
ভোটকেন্দ্রে মিঠুনকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান!

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার প্রথম দিনে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ঘণ্টাতেই রংপুর বিভাগের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে হাহাকার দেখা গেছে যাত্রীদের মধ্যে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। 


পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় এখনো কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। প্রথম ঘণ্টাতে পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৯৪০টি। 


কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ঘণ্টাতেই ১১ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর বিক্রি শুরুর আধা ঘণ্টায় ৬০ লাখ হিট হয়েছে সহজের সার্ভারে। 


রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উত্তরবঙ্গের ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। 


এর পরই রয়েছে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম ও রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নীলফামারী রুটের চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের চাহিদা। এই তিন রুটের টিকিট প্রথম ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে গতকালের মতোই। 


আর ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তনগর ট্রেন লালমণি এক্সপ্রেস হওয়ায় এই রুটের টিকিটও দ্রুততম সময়ে শেষ হয়ে গেছে বরাবরের মতো। 


অন্যদিকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচলকারী চার আন্তনগর পদ্মা, সিল্কসিটি, বনলতা ও রাজশাহী এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি হতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার মধ্যে। 


আর যশোর ও খুলনা অঞ্চলের তিন আন্তনগর ট্রেন বেনাপোল, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকিট এখনো কিছু অবিক্রীত রয়েছে। 


রেলওয়ে যাত্রীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপ’-এর যাত্রীদের মধ্যে টিকিট প্রাপ্তি ও হতাশা নিয়ে দেখা গেছে নানা মন্তব্য করতে। 


শফিকুর রহমান নামে উত্তরবঙ্গের এক যাত্রী, যাবেন ঠাকুরগাঁওয়ে। তিনি বলেন, ‘আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে দুটি টিকিট কাটতে পেরেছি।’ তবে শামীম হেসেন নামের আরেক যাত্রী লিখেছেন, ‘টিকিট ছাড়ার আধা ঘণ্টা আগে ঢুকে বসে থাকলেও টিকিট পাইনি।’


সেখানে মোহাম্মদ হাসান নামে এক যাত্রী লিখেছেন, ‘অনেকে টিকিট কাটতে পারে না নিয়ম জানে না বলে। আমি ৮টার সময় দুইটা টিকিট কাটতে পেরেছি।’ 


ভারতে লোকসভা নির্বাচনে শনিবার সপ্তম দফায় ভোট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এদিন কলকাতায় ভোট দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, সায়নী ঘোষ, সস্ত্রীক রাজ চক্রবর্তীসহ আরও অনেকেই।


স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বেলগাছিয়ার ২২ নাম্বার ওয়ার্ডে ভোট দিতে যান মিঠুন। ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে সক্ষম হন তিনি। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেতা। 


তবে গণমাধ্যমকর্মীরা তার বক্তব্য জানতে চাইলে মিঠুন জানান, দল ৩০ মে পর্যন্ত যে দায়িত্ব দিয়েছিল তিনি তা নিখুঁতভাবে পালন করেছেন। এবার তিনি আগের মতো ছবিতে কাজ করবেন। কারণ তাকে তো পেট চালাতে হবে। 


এ সময় ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার গাড়ি ঘিরে শাসকদলের সমর্থকরা স্লোগান দেন, ‘চোর এসেছে। সব দলের থেকে খেয়েছে। এ বার গেরুয়া শিবিরের পালা।’




শনিবার ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলকাতা উত্তর, দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রসহ পশ্চিমবঙ্গের নয়টি কেন্দ্রের একাধিক বুথ।


এদিন ভোট গ্রহণ হয়েছে সাতটি রাজ্য, একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৫৭টি কেন্দ্রে। এ তালিকায় রয়েছে বিহার (৮টি আসন), হিমাচল প্রদেশ (৪টি), ঝাড়খণ্ড (৩টি), উড়িষ্যা (৬টি), পাঞ্জাব (১৩টি), উত্তরপ্রদেশ (১৩টি), পশ্চিমবঙ্গ (৯টি) ও চণ্ডীগড়ে (১টি)। উড়িষ্যার ৪২টি বিধানসভা কেন্দ্রেও একইসঙ্গে নির্বাচন চলছে।

লোকসভা ভোটের অন্তিম চরণে যে ৯০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে, সেই তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, অনুরাগ ঠাকুর, কঙ্গনা রানাওয়াত, রবি কিষাণ, লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে তথা আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতী, শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং চান্নি, কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক ব্যানার্জী, সায়নী ঘোষ, বামেদের হয়ে লড়ছেন সুজন চক্রবর্তী, সৃজন ভট্টাচার্য।



শেয়ার করুন