২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ হতে পারে ২১ ডিসেম্বর
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১২-২০২৩
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ হতে পারে ২১ ডিসেম্বর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হতে পারে। পরীক্ষা গ্রহণের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) ২১ ডিসেম্বরকে সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ধরে জোরেশোরে কাজ করছে।


ডিপিই’র পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের দুজন উপ-পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের ছুটি পড়ে যাচ্ছে এর মধ্যে। ফলে রোববার (১০) থেকে হিসাব ধরলে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে। ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় ২১ ডিসেম্বরই ফল প্রকাশের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। সেভাবেই কাজ করছি আমরা।’


আরেকজন উপ-পরিচালক জানান, ফল প্রস্তুতের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে বুয়েট। তারা নির্ভুলভাবে দ্রুত কাজ করে থাকে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সমন্বয় করছে। ফলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে তেমন কোনো জটিলতা নেই। ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।


এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই হিসাবে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে।


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের সিদ্ধান্ত হলো— পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। তিনি আশা করছেন, এ সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ফল প্রকাশ করতে পারবেন।


শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম ধাপের এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। তবে, কতজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানায়নি অধিদপ্তর।


প্রথম ধাপের পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন এবং বরিশাল বিভাগের ২৮ জন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে তিন বিভাগের প্রতিটি কেন্দ্রে, অর্থাৎ ৫৩৫টি কেন্দ্রেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।


এছাড়া পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৯টার মধ্যে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। একই সঙ্গে সবচেয়ে বড় সরকারি এ নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।


শেয়ার করুন