বাংলাদেশ ও জাপানের ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জাপানের সঙ্গে গত ৫০ বছরের ঈর্ষণীয় সহযোগিতার বিষয়টি আগামী পঞ্চাশ বছর পরেও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আসুন, আমাদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে পরবর্তী উচ্চ স্তরে নিয়ে যাই।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে টোকিওর ওয়েস্টিনের সাকুরায় নির্বাচিত জাপানি ব্যবসায়ীদের (সিইও) সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর- বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত পাঁচ দশকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃষ্টান্তমূলক ফলাফল দেখে আগামীতেও বাংলাদেশে আমরা জাপানের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা প্রত্যাশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী জাপানের ব্যবসায়ীদের মতামতকে গুরুত্ব দেন জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শগুলো নোট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনার উদ্যোগকে সহযোগিতা করতে এবং সহজতর করতে টোকিওতে আমাদের দূতাবাস প্রস্তুত আছে। অনুগ্রহ করে আপনার জন্য অপেক্ষারত ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে বাংলাদেশে আসুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির উত্থাপিত বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রক ও নীতিগত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ব্যবসায়ীক পরিবেশের উন্নতি অব্যাহত রাখব। বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করব।’
বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উদার বিদেশি বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বাজার, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতা-সহ বিশাল দেশীয় ভোক্তা বাজার থাকায় বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি অত্যন্ত লাভজনক স্থান হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।’
বৈঠকে জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান), পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।