২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১২:১৮:২৯ অপরাহ্ন
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের অপসারণ দাবি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৫-২০২৩
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের অপসারণ দাবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে আবারো তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। একই সাথে টাকা দিয়েও চাকরি না দেয়ায় সেই টাকাও ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮মে) সকাল ১০ টায় রামেক হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনের সময় তাদের পুলিশ ও রামেক হাসপাতালের আনসাররা বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সকালে চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারিরা এ রামেক হাসপাতালের সামনে রাস্তায় ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে প্রথমে তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে কোন ধরনের মানববন্ধন করা যাবে না।

এসময় চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং এ কর্মরত সেবীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মানববন্ধনের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ও ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু বছর গড়ালেও রাসেল তাদের চাকরি দেয়নি। এমনকি যারা চাকরিতে ছিল রাসেল তাদের মধ্যে অনেককে বাদ দিয়ে পুনরায় টাকা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এরআগেও তারা মানববন্ধন করেছে। একই সাথে বিষয়টি সাবেক পরিচালককেও অবহিত করা হলেও পরিচালক রাসেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযোগ করা হয়, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল যেসব নারীদের চাকরি দেন তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ পর্যন্ত রাসেল ওই হাসপাতালের ১০ থেকে ১২জন নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে তাদের চাকরি দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকেও নিয়েছেন টাকাও। ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের কু-প্রস্তাবে প্রস্তাবে রাজি হলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে, আর তার কথা না শুনলে চাকরি হয়নি।

ডেইজী, সালেহা নামে অপর ভুক্তভোগী জানান, এতদিন ধরে আমরা অন্দোলন করছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাসেলের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরবতায় বোঝা যাচ্ছে তারাও এই কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

উল্লেখ্য, রামেক হাপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাত, হাসপাতালের কর্মরত দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রামেক হাসপাতালের কর্মচারি হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ জন স্থায়ী কর্মচারি তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছে।

শেয়ার করুন