২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০১:২৯:৫৮ অপরাহ্ন
ভাটারায় চোরাই সোনা ও টাকাসহ ৮ চোর গ্রেফতার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২৩
ভাটারায় চোরাই সোনা ও টাকাসহ ৮ চোর গ্রেফতার

রাজধানীর ভাটারায় নূর জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় চোরাই সোনা ও টাকাসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ২ ভরি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির ১২ লাখ টাকা এবং তালা কাটার যন্ত্রপাতি, চুরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি বিএমডব্লিউ ছাতা উদ্ধার করেছে।


বৃহস্পতিবার ডিবির লালবাগ জোনের ডিসি মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


গোয়েন্দা লালবাগ জোনাল টিমের সদস্যরা কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া ও নারায়নগঞ্জ জেলাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সর্দারসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে।


গ্রেফতার আসামিরা হল- শরীফ ওরফে জামাই শরীফ, আমির হোসেন ওরফে মোটা আমির, ইয়াছিন আরাফাত মোল্লা ওরফে কানা মোটা ইয়াছিন, ফারুক, নুরে আলম সুমন ওরফে ডিবি সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ, মোকাররম হোসেন ওরফে রুবেল, মনির হোসেন ওরফে মনু এবং পারভেজ।

গ্রেফতার আসামিরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও থানার মানি একচেঞ্জ, জুয়েলারি সপ, টায়ার টিউবের আড়ৎ, লাইট হাউজে বিশেষ কায়দায় তালা কেটে, শাটার ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে।

ভাটারা থানার মাদানী এভিনিউয়ের হাজী ম্যানশনের নীচ তলার নূর জুয়েলার্সে তালা কেটে ১৮৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। গত ১৫ এপ্রিল এ চুরির ঘটনায় ভাটারা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এ বিষয়ে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ চক্রটি কোনো একটা প্রতিষ্ঠানে চুরি করার আগে সে এলাকায় কয়েকদিন অবস্থান করে। পায়ে হেঁটে, রিক্সায় চড়ে এলাকা রেকি করে। প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা কোথায় যায়, কখন কতক্ষণ অবস্থান করেন তাও পর্যবেক্ষণ করে।

অপরাধ সংগঠনের দিন মালিক/কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান বাইরে থাকাকালীন চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে কখনো ছাতা, কখনো চাদর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সামনে এক ধরনের আড়াল সৃষ্টি করে। পরে বেকপ্যাক এ বড় তালা কাটার যন্ত্র দিয়ে মুহূর্তেই কলাপসেবল ও সাটারের তালা কেটে একাধিকজনকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে শাটার বন্ধ করে দেয়।

ভেতর থেকে চুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অবস্থানে সতর্ক থেকে ছাতা এবং চাদর দিয়ে আড়াল তৈরি করে রাখে। নির্দিষ্ট কিছু দোকানদারের কাছে তারা চোরাই স্বর্ণালংকার কম দামে বিক্রি করে দ্রুত নিজেদেরকে সরিয়ে নেয়। ধরা পড়া এড়ানোর জন্য এই চক্রের সদস্যরা সব রকমের প্রযুক্তিগত সর্তকতা অবলম্বন করে থাকে বিধায় তাদেরকে সব সময় ধরা যায় না।

জুয়া খেলা, অবৈধ মাদক এবং অবৈধ যৌনতায় আসক্ত হওয়ায় চুরি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তাদের কাছে বেশি সময় থাকে না। গ্রেফতার ব্যক্তিদের পুলিশ রিমান্ডে এনে ইতোমধ্যে আরো কতগুলো অপরাধ সংগঠন করেছে, কারা কারা জড়িত ছিল, কোথায় চোরাই মাল বিক্রয় করে- সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।

শেয়ার করুন