চিরচেনা রুপে ফিরেছে রাজশাহী মহানগরী। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর ছিলো পুরো রাজশাহী নগরী। কিন্তু সোমবার (১৯জুন) দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এতে আবারো সেই আগের অবস্থানে ফিরে গেছে সবুজ নগরী রাজশাহী। এখন অপেক্ষ শুধু রাত পোহানোর।
গত ২ জুন নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে রাসিক নির্বাচনে অংশ্রগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দত দেয়া হয়। এদিন বিকেল থেকেই শুরু হয় প্রার্থীদের প্রচারণা। পাড়া মহল্লা হয়ে উঠে উৎসব মুখর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার মাইকে বাজে নির্বাচনী নানা সুরের গান। চলে পথসভা, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো নগরী। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নেই প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা, মাইকে বাজছে না নানা সুরের গান।
প্রার্থীদের প্রচার মাইকের জন্য নগরীরবাসি অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করলেও ছিল আনন্দের আমেজ। সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রচারণা শেষ হওয়ায় সবুজ নগরী শান্ত হয়ে গেছে। ফিরেছে সেই আগের রুপে।
এখন প্রচারণা না থাকলেও নগরীর দেয়ালে দেয়ালে, বিদ্যুতের পোলে, রাস্তা-ঘাটে দড়িতে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন। স্তব্ধ নগরীর চারদিকে এখন ঝুলছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার। সকাল থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিসে লোক সমাগহম দেখা গেলেও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে অফিসগুলোও অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। নেই আগের মত কর্মী সমর্থকদের পদচারণা। দুএকজন কর্মী যারা প্রচার অফিসের দায়িত্বে ছিল কেবল তাদেরকেই এই অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে প্রার্থী ও সমর্থক কর্মীরা তাকিয়ে আছেন আগামীকালের দিকে।
এবার রাসিক নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুর্শিদ আলম ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং কাউন্সিলর পদে ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।