২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন
একনজরে রাজশাহী সিটি নির্বাচন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৬-২০২৩
একনজরে রাজশাহী সিটি নির্বাচন

আগামীকাল বুধবার (২১ জুন) রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট যাত্রা শুরু করা এই সিটিতে নির্বাচন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বেলা ১১টায় রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়াম থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নেন। 


এবার বিএনপি ভোটে নেই। তবে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এর মধ্যে বরিশালের ভোটের পর ইসলামী আন্দোলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।


শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ফুরফুরে আছেন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হবেন। তবে এই মসৃণ পথে কাঁটা ছড়ানোর তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে নিজ দলের জেলা ও মহানগরের অন্তত দুই ডজন নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা বিরোধিতায় নেমেছেন। কেন্দ্র তাঁদের তালিকা করে সতর্ক থাকতে বলেছে। 


বিভেদ আছে জাতীয় পার্টিতেও (জাপা)। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থী স্থানীয় নেতারা মহানগরের সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চুকে আগেভাগেই মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন। তাঁর পাশে নেই রওশনপন্থী নেতারা। পাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও কোন্দলে জড়াচ্ছেন।


এবার মেয়র পদে প্রার্থী হলেন যাঁরা


আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা)


জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল)


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা)


জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)


কাউন্সিলরদের তথ্য


১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


ভোটারদের তথ্য 


এই সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের ৬ জন।


ভোটকেন্দ্র ও নিরাপত্তা


রাসিক নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি এবং ভোটকক্ষ ১১৫৩টি। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৬টি; র‌্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন মোতায়েন থাকবে।


নির্বাচনে নির্বাহী হাকিম থাকবেন ৪৩ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন। রিটার্নিং অফিসার রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।


ফিরে দেখা রাজশাহী সিটি ভোট


২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ।


২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওই বছর ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ।


এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।


শেয়ার করুন