বিশ্ব মুসলিম জাহানের পবিত্র হজ শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার কাবা তাওয়াফের মাধ্যমে হজ শুরু হয়। মক্কার বাতাসে এখন হাজিদের প্রার্থনার সুর ভাসছে। এবারে হাজিদের উপস্থিতির হার পূর্বের সব রেকর্ড ভাঙবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ বছর আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজযাত্রার সাক্ষী হতে চলেছি।’
এ বছর ২৫ লাখের বেশি মুসলমান হজে অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ ২০২০ সালে আরোপ করা করোনাভাইরাস মহামারি বিধিনিষেধ সম্পূর্ণ শিথিল করা হয়েছে।
২০২০ সালে মাত্র ১০ হাজার লোক হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ২০২১ সালে ৫৯ হাজার এবং গত বছর ১০ লাখ লোক অংশ নিয়েছিল।
হজে এসেছেন ৬৫ বছর বয়সী মিশরীয় আবদেলাজিম। যিনি ২০ বছর ধরে হজের জন্য ৬ হাজার ডলার সঞ্চয় করেছেন। তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলি যাপন করছি।’
আগামী রোববার সন্ধ্যায় মক্কার আল-মসজিদ আল-হারাম বা গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে প্রায় ৮ কিমি দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তবে এর আগে তাঁরা আরাফাত পর্বতে এক দিন অবস্থান করবেন। যেখানে নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সর্বশেষ উপদেশ বাণী সাহাবাদের দিয়েছিলেন।
হজযাত্রীদের জন্য মিনা প্রস্তুত করা হয়েছে। খাদ্য মজুত এবং নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ বছর তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি হওয়ায় হাজিদের বেশ বেগ পেতে হবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি থেকে অসুস্থ হয়ে পড়া হাজিদের জন্য ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাজারো অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে।
এ বছর হজ ২৬ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে হবে এবং ২৮ জুন ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। গত সপ্তাহে হাজিদের চারটি দল গাজা থেকে মক্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া থেকেও হাজিরা তুরস্কে প্রবেশ করেছে। ইয়েমেনিরা ২০১৬ সালের পর এবার প্রথম সৌদি আরবে হাজিদের প্রথম সরাসরি ফ্লাইটে পাঠিয়েছে।