আগামী ২৫ জুলাই রাত ১০ টা ১ মিনিটে রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর হবে। আজ বুধবার (১৯ জুলাই) কারাগার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, এদিন একই মঞ্চে দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি মহিউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
এদিকে সোমবার উচ্চ আদালতে আসামি জাহাঙ্গীরের করা ফাঁসি স্থগিতের রিট আবেদন খারিজ হবার পর তারা এবার ফাঁসি স্থগিত চেয়ে মার্কিন দূতাবাসের দারস্থ হয়েছেন। জাহাঙ্গীরের ভাই সোহরাব হোসেন বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আইনজীবী এস এন গোস্বামীর পরামর্শে তারা ১৭ জুলাই নথিসহ ফাঁসি স্থগিত চেয়ে নথিসহ আমেরিকান দূতাবাসে আবেদন করেছেন। তবে সেখান থেকে এখনও কোন সাড়া মেলেনি। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গেলো ২ মার্চ এই দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন সর্বোচ্চ আদালত।
নিম্ন আদালত দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তাই বহাল থাকে আপিলে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া আর কোনো পথই খোলা ছিল না তাদের। তবে এরপরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দণ্ডিত এই দুজনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে গত ৭ মে ফের রিট আবেদন করেন তাদের স্বজনরা।
যদিও উত্থাপিত হয়নি মর্মে পরবর্তীতে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্ল্যার হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস হত্যার শিকার হন তিনি। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে ফাঁসির আদেশ ও দুই জনকে খালাস দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আবদুস সালাম।
খালাস পাওয়া চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।